আমার ডায়েরী
জীবন তার যে গতিতে চলমান সেই গতির সাথে তাল মেলাতে গিয়ে মাঝে মাঝেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। কখনও কখনও নিজেকে ঐ পরিস্থিতিতে প্রচণ্ড অসহায় আর অপরাধী মনে হয়। আবার মনে হয় চলমান মহাকালের ঘূর্ণায়মান আরশিতে আমিও একটা সামান্য উপাদান মাত্র। যাকে চলতেই হবে তা রাস্তা যেমনই হোক না কেন।
হতে পারে এই পথের শুরুটা যেমন এবড়ো থেবড়ো ইট বিছানো পথের মত হয়েছে তেমনটা হয়ত থাকল না। হতে পারে মানুষের কথার আঘাতে জর্জরিত হয়ে রক্তাক্ত হবে হৃদয় আমার। এই বা কম কিসে। কিংবা এটাই তো হওয়া স্বাভাবিক ছিল। যার পথের খোঁজই হয় দুর্গম গিরিপথের উদ্দেশ্যে , তার কি পথের ছাউনি খুঁজে বিশ্রাম করা সাজে? যে মাতাল হাওয়াকে উপভোগের জন্যই উদ্দাম উদ্ভ্রান্ত বৈশাখের উত্তাল রাতকে অবগাহনের আমন্ত্রণ জানায়, তার কি ঈষদুষ্ণ নরম তক্তপোশের সন্ধান করা মানায়?
আমার পথচলাটা অনন্তই এমন প্রতিকুলতায় নিমজ্জমান। আমার ছন্দহীন অবরনীয় সম্মুখ যাত্রাই দ্বিধাহীন প্রভাতের সুচনাপত্র। আমার মাঝের অবচেতন আমিই সমস্ত লণ্ডভণ্ডের মূল। সমস্ত অভিশাপের মূল। সে কি করে ক্লান্তিহীন চোখে আমোদের ঘুমকে বরণ করবে। আকণ্ঠ মগ্ন অগ্নিতে যে বুভুক্ষের মত ঝাঁপ দেয়, অগ্নি নির্বাপক তার কিই বা কাজে আসবে। পথ চলতে চলতে যখন ম্লান হবে প্রকৃতির অনিন্দ্য সৌন্দর্য। যখন জিইয়ে পড়বে শীতকালের গাছের পাতার মত এই উদ্দিপ্ত যৌবন। তখনই হয়ত আবার শুরু হবে নতুন পথযাত্রা। যে যাত্রাপথের শেষ নেই। অবিরাম, অবিরত যে মহাকালের অসীমে শূন্য পথে চলতেই থাকবে। সেটি হয়ত হবে পুনঃ নির্মাণের স্তবক। হয়ত হবে জীবনের পর অন্য জীবন।
লেখা-১৫-১০-২০১৬
প্রকাশ-১৬-১০-২০২১
Comments
Post a Comment